সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের থানাগুলোতে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট অগ্নি সংযোগ করা হয়। এসময় পুলিশের অনেক অস্ত্র এবং গোলাবারুদ লুট করে
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে,
প্রায় ১২ দিন পর আজ পর্যন্ত সম্প্রতি লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়েছে তারমধ্যে, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মিলেছে ৭১৫টি, গোলাবারুদ মানে গুলি ১৮,৫১২ রাউন্ড, টিয়ার গ্যাস সেল ১১১৮টি এবং সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে ৭০টি।
এর আগে বুধবার (১৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা জানানো হয়। ওই দিন পুলিশের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছিল, প্রায় ৯ দিন পর ৩০৯টি অস্ত্র এবং ৬২৫৮ রাউন্ড গুলি, টিয়ার গ্যাস সেল ৩১৮টি ও টিয়ার গ্যাস গ্রেনেড-২ এবং সাউন্ড গ্রেনেড- ৯টি উদ্ধার করা হয়েছে।
এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন সোমবার (১২ আগস্ট) অবৈধ অস্ত্র থানায় জমা দিতে ৭ দিন সময় বেঁধে দেন। তা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সাখাওয়াত বলেন,
যাদের হাতে আন-অথরাইজ ওয়েপন বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট থানায় জমা দেবেন। যদি জমা না দেন, তাদের বিরুদ্ধে দুটি চার্জ লাগবে। দুটি মামলার মধ্যে একটি হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র মামলা, অপরটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ অস্ত্র আপনাদের হাতে।
কেউ যদি নিজে থেকে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসব অস্ত্র জমা দিতে না পারেন, তাহলে অন্যের মাধ্যমে তা ফেরত দেয়ার সুযোগও সরকার খোলা রেখেছে। এসব নির্দেশনা আমলে না নিলে অস্ত্র উদ্ধারে মাঠে নামা হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দুষ্কৃতকারীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় আক্রমণ, ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে। তখন তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়।