২০১৭ ও ২০১৮ সালের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আজ (রবিবার) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী ।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে পুরস্কার বিজয়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একটা সমাজকে জানা যায়, তেমনি সমাজের কাছে বিশেষ কোনও বার্তাও পৌঁছাতে হলে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তা সহজে পৌঁছানো যায়। চলচ্চিত্র সমাজকে সংস্কার করতে পারে, কলুষমুক্ত করতে পারে। আবার কখনও কখনও অপসংস্কৃতি সমাজকে নষ্ট করতে পারে। তাই সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে দেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কুলজীবন থেকে বাঙালির শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক মুক্তির কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা উন্নয়ন বিল ১৯৫৭ সংসদে উপস্থাপন করেন এবং সেটি পাস হয়। এর মাধ্যমে এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া নানা কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নেন। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নয়নে তিনি কাজ করেন। তিনি যে সংবিধান দিয়েছেন, সেখানেও সব ধরনের অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য মফস্বলের সিনেমা হলগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। হলগুলোকে ডিজিটালাইজড করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী-কলাকুশলীসহ দেশের চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও সংগীতসহ সাংস্কৃতিক জগতের সব অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/ বিজয় টিভি