নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। নদী তীরের অবৈধ দখল অপসারণ ও দূষণরোধে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানা তিনি।
আজ (রবিবার) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর নাব্যতা এবং গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’এর দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই। কাজ শুরু করা সহজ, শেষ করা কঠিন। কঠিন কাজটি শেষ করব। নদীগুলোকে রক্ষা করতে না পারলে অনেক কিছুই ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুন্দর ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সভায় জানানো হয়, ঢাকা শহরের চারদিকের নদীসমূহ দখল ও দূষণমুক্তকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় ১৮ হাজার ২৫টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, ৭৩৮ একর তীরভূমি উদ্ধার, ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ কোটি টাকার পণ্য নিলাম করেছে। এবছরের ১৮-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় পুনঃদখলকৃত ৭২০টি স্থাপনা অপসারণ, প্রায় ১৬ একর জমি উদ্ধার, নয় লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা এবং দু’কোটি ৩৮ লাখ টাকার পণ্য নিলাম করেছে।
সভায় আরো জানানো হয়, ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় ৩ হাজার ৮০৩টি সীমানা পিলারের মধ্যে ২০৭টি পিলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় ২ হাজার ৬টি সীমানা পিলারের নির্মাণ কাজ আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের অধীনে আড়াই ২ হাজারটি সীমানা পিলার এবং ঢাকা ও টঙ্গী নদী বন্দরের অধীনে ছয়টি ভারী জেটি নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি