দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড সংখ্যক ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে দেশে এই পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৫০ জন।
এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল শনিবার ও ২৪ মে তারিখে। ওইদিন ২৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আজ (রবিবার) গতকালের চেয়ে ১২ জন বেশি মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ১১ হাজার ৮৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটিও এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। বর্তমানে দেশে এ ভাইরাসে শনাক্ত ৪৭ হাজার ১৫৩ জন রোগী রয়েছেন।
আজ (রবিবার) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ৭৮১ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৭৬৪ জন। আজ আক্রান্তের হার ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শুক্রবার এই হার ছিল ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের দিন সুস্থতার হার ছিল ২১ দশমিক ০২ শতাংশ, মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শুক্রবার সুস্থতার হার ছিল ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর ছিল হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সর্বাধিক ১২ হাজার ২২৯টি। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৫২টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬টি। আগের দিন ৫০টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ৯ হাজার ৯৮৭টি। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ৮৮৯টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৩০টি।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। অঞ্চল বিবেচনায় ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন, খুলনায় ২ জন এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ১ জন করে মারা গেছেন।
বয়স বিবেচনায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৯১ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫ হাজার ৭৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১২৬ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ৭০০ শয্যা। ঢাকার ভেতরে রয়েছে ৭ হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে ৬ হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। আইসিইউ রয়েছে ৩৯৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট রয়েছে ১১২টি।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি