সাম্প্রতিক সময়ে অতিবর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর এ পর্যন্ত নয় হাজার ৪২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ এক তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
বন্যাকবলিত সব জেলা প্রশাসন থেকে গতকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৩২ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ টাকা। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
আর শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২২ প্যাকেট।
এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে-ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ ।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৮টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১০২২টি।
পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৯ হাজার ২৯৫টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৭১ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১ জন।
এতে বলা হয়, বন্যাকবলিত জেলাসমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫২৫টি। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩৯৭ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৮২৫টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৬৭টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৯৯টি।