গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ ঘটনার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ সম্মেলন করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে চারটি দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো:
১। ধর্ষণে জড়িতদের শনাক্ত করে অবিলম্বে নাম প্রকাশ ও গ্রেফতার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
২। বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় বসবাস করা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৩। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের চিহিৃত ত করে বিচার করা।
৪। এছাড়া, ধর্ষণ ঘটনার সম্পর্কিত সব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাজু। এ সময় সিএসসি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মিনাহাজুল ইসলাম, আইন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নাঈম ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা এ ঘটনায় পরবর্তীসময়ে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ভিসির রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা শুক্রবার সকাল ১১টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছেন। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্র্থীরা মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দেন। শুত্রবার বিকেল ৪টার দিকে সেই সময় শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বশেমুরবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী (ভিকটিম) তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকার হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। সে সময় সাত-আটজন যুবক ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে তাদের তুলে নেয়। পরে তারা ওই ছাত্রী ও তার বন্ধুকে হ্যালিপাডের পাশে নির্মাণাধীন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের বারান্দায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এবং সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকে মারধর করা হয়।