উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জে প্রতিদিনই কয়েক সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি। যা ঢুকছে নিচু এলাকার জমিগুলোতে। এখন পর্যন্ত মূল হাওরে পানি না ঢুকলেও প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটছে কৃষকদের। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার ৩৮০ হেক্টর বোরো ধানের জমি।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জিওলের হাওর। এই হাওরে প্রায় ১৩ দিন আগে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সবকটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয় নিচু এলাকার প্রায় ২শ’ হেক্টর বোরো ধানের জমি।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গত দু’দিন যাবত উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বাড়তে শুরু করেছে হাওরের ধনু, বাউলাই, কুর্শা ও কালনিসহ সকল নদ-নদীর পানি। এতে নতুন করে ফসল হারানোর আতংক বিরাজ করছে হাওরের কৃষকদের মাঝে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু না হলেও তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আধা-পাঁকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন তারা।
এদিকে, কৃষকের ধান রক্ষায় প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামত করা ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ধান কাটাসহ সকল সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
কিশোরগঞ্জ হাওরে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮০ হেক্টর বোরো ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ধান কেটে ফেলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষকদের ধান ঘরে তোলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।