রাজবাড়ীতে লটারিতে শাশুড়ির জেতা মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে স্ত্রী হামেদা বেগমকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আব্দুল। বর্তমানে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন হামেদা বেগম। তিনি ওই গ্রামের মৃত শুকুর আলীর মেয়ে।
অভিযুক্ত আব্দুল শেখ সুলতানপুর ইউনিয়নের বানিয়ারী গ্রামের লালচাঁন শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন নরসুন্দর। হামেদা-আব্দুল দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
হামেদার চাচা শরিফুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ মে রাজবাড়ী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় লটারিতে একটি মোটরসাইকেল পান হামেদার মা জবেদা বেগম। লটারির টিকিটটি তিনি কেনেন ছোট মেয়ে হামেদা বেগমের ছেলে আমির হামজার নামে। ছেলের নামে কেনা টিকিটে পাওয়ায় মোটরসাইকেলটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান হামেদার স্বামী আব্দুল শেখ। তবে হামেদার ভাই ও অন্য দুই বোন মায়ের জেতা মোটরসাইকেলে নিজেদের অংশ আছে দাবি করেন। এবং মোটরসাইকেলটি আব্দুলের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৭ মে) সকালে স্ত্রী হামেদাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন আব্দুল।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে হামেদার মা জবেদা বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি শনিবার (১৮ মে) দুপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালিয়েছেন। পরে বিকেলে আমি আব্দুলকে ফোন করে আমার ভাতিজি হামেদাকে বাড়ি নিয়ে যেতে অনুরোধ করি। তবে আব্দুল আমাকে জানাস যত যা কিছুই হোক তিনি আর হামেদাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেবেন না।
অভিযুক্ত আব্দুল শেখ বলেন, হামেদাকে আমি আর বাড়ি আনব না। ওকে আমি তালাক দেব।
হামেদার বড় বোন জরিনা বেগম বলেন, লটারিতে আমার মা মোটরসাইকেল পেয়েছেন। ওই মোটরসাইকেলে আমাদের চার ভাই-বোনেরই অংশ আছে। কিন্তু আমার ছোট বোনের স্বামী আব্দুল মোটরসাইকেলটি একাই নিতে চান। মোটরসাইকেলটি জেতার পর বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। আমরা সেটি ফেরত নিয়ে আসায় তিনি আমার বোনকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা চার ভাই-বোন ও মা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মোটরসাইকেল বিক্রি করে টাকা সমানভাবে ভাগ করে নেব।