জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন দুই লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টায় দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ও সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিনই বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার কারণে ১০৫টি প্রাথমিক ও ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য ১১টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্গত এলাকায় খাবার ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের জন্য ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ১১টি মেডিক্যাল টিম।’
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় শনিবার (৬ জুলাই) বিকালে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্সের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান।