ঝালকাঠি জেলায় চলতি মৌসুমে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রোগবালাই না থাকায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে বাইরে থেকে শ্রমিক না আসায় কৃষকরা ধান কাটা নিয়ে সংকটে পড়েছেন।
কৃষকরা জানান, স্থানীয়ভাবে দু’চারজন পাওয়া গেলেও মজুরি দিতে হচ্ছে অনেক বেশি। ফলে, কৃষকদের নিজেদেরই মাঠে নামতে হচ্ছে ধান কাটতে। তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে জেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি তারা।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক সংকট থাকলেও অনেকে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন। আর এ কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। এছাড়া, সকল কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
চলতি মৌসুমে জেলায় ১১ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা থেকে, ৪৬ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।