মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এখন দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দুর্গত এলাকার উঁচু স্থানের পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। আর পানি নামতে থাকায় অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
এদিকে প্রতিটি ঘরে খাবার সংকট রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে স্থানীয়রা জানান। এছাড়া মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কের পানি সরে যাওয়াতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে কোনও কোনও স্থানে এখনও পানি আছে।
শনিবার (২২ জুন) শহরতলীর মনু নদীর পাড়ে বশির মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, পানিতে দুই বার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমবার ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও দ্বিতীয়বার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমার ঘরে থাকাই বিপদজনক হয়ে গেছে। আর আমার মতো অনেকেরই ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শ্মশানঘাট এলাকার বাসিন্দারা জানান, নদীর পানি শুক্রবার (২১ জুন) থেকে দ্রুত নামতে শুরু করেছে। এতে এ এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরছেন। যদিও প্লাবনের পানিতে তাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে।
শায়েস্তা মিয়া নামে একজন বলেন, শুক্রবার রাতে পৌরসভার মেয়র ১০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। এভাবে সরকারি-বেসরকারি খাদ্য সহায়তা দিলেও চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
এদিকে হাওড় পাড়ের উপজেলাগুলোতে জলাবদ্ধতা কাটছে না। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার হাওড় পাড়ের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, ‘পানি কমতে শুরু করলেও দুর্গত মানুষদের ত্রাণ সহায়তা পেতে কোন সমস্যা হবে না। পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা রয়েছে।’