নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৫ কেজি ওজনের একটি পাখি মাছ। ডাকের মাধ্যমে মাছটি ৩ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে মাছটি বিক্রি করা হয়। এ সময় মাছটি একনজর দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।
জানা যায়, মনির মাঝি নামের এক জেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গেলে অন্যান্য মাছের সঙ্গে একটি পাখি মাছ পান। মাছটি শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে নিলামে তোলা হয়। নিলামে মাছটি ৩ হাজার ৯০০ টাকায় এনায়েত বেপারী কিনে নেন। এর আগে সকালে ২০ কেজি ওজনের আরেকটি পাখি মাছ কিনেন এনায়েত বেপারী। যদিও মাছটি নরম ছিল ফলে মাত্র ১২০০ টাকায় কেনেন তিনি।
মনির মাঝির সঙ্গে কাজ করে জেলে হৃদয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, বছরে দুই একবার এ ধরনের বড় মাছ জালে উঠে। এই মাছগুলো বেশ দ্রুত গতিসম্পন্ন তাই অনেকে পাখি নামেও চিনে। বেশ সুস্বাদু হওয়ায় এই মাছের চাহিদা অনেক। এনায়েত বেপারী নিলামে মাছটি ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনেছেন।
এনায়েত বেপারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে একটা পাখি মাছ কিনেছি আবার দুপুরে একটা কিনলাম। এই মাছ পাওয়া যায় না। মাছটি দেখতে অনেকেই ভিড় জমিয়েছে। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দাম ভালো পাওয়া যায়।
মেঘনা ফিশিং এজেন্সির ম্যানেজার হাবিব ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মনির মাঝি আমাদের আড়তে তার সকল মাছ নিয়ে আসেন। তার মধ্যে ইলিশ মাছ বেশি ছিল। আমরা ইলিশ মাছ বিক্রি করেছি তারপর একটা পাখি মাছ নিলামে তুলি। নিলামের মাধ্যমে এনায়েত বেপারী ৩ হাজার ৯০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, স্থানীয় এলাকায় এই মাছটি ‘পাখি মাছ’ হিসেবে পরিচিত। গভীরে চলাচল করায় এ মাছ তেমন একটা ধরা পড়েনা। এ মাছগুলো অনেক দ্রুত গতির। ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌড়ায়। তবে এ অঞ্চলে মাছটি খেতে খুব সুস্বাদু।