মাদারীপুরে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। মুদি দোকান থেকে শুরু করে এমনকি ফ্লেক্সিলোডের দোকানেও মিলছে রান্নার গ্যাস। নিম্মমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ এসব সিলিন্ডার ব্যবহারে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মাদারীপুর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা শ্রাবন্তী মজুমদার। প্রায় এক যুগ ধরে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ, তিনি জানেন না এর সঠিক ব্যবহার।
শুধু শ্রাবন্ত মজুমদারই নয়, মাদারীপুর শহরের অধিকাংশ বাসা-বাড়ি এবং খাবার হোটেল ও রেস্তোরায় বেড়েছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার। সিলিন্ডার ছিদ্র হয়ে যাওয়া, নিন্মমানের মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহারসহ নানা সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার।
জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার যেন বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় এজন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মাদারীপুরের ৪টি উপজেলায় বিভিন্ন কোম্পানির অর্ধশত এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ডিলার ও এক হাজারের বেশি খুচরা বিক্রেতা রয়েছে। আর গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক।