বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা আমীর খান। আসির দশকে নায়ক হিসেবে বলিউড পর্দায় যাত্রা শুরু তাঁর। বাবা প্রযোজক তাহের হোসেন আর চাচা বিখ্যাত পরিচালক ও প্রযোজক নাসির হোসেন। চাচা নাসির হুসেনের ইয়াদন কি বারাত সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসেবে আমীর প্রথম বারের মতো বড়পর্দায় উপস্থিত হন ।
পড়াশোনা শেষে আমীর সিদ্ধান্ত নেন চাচা নাসির হুসেনের সঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন। সেখানে বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার আমীরকে দেখে নাসির কে বলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নয় এই ছেলে এক দিন অনেক বড় নায়ক হবে। এর জন্য বলিউড অপেক্ষা করছে।
১৯৮৪ সালে হলি সিনেমায় প্রথম অভিনয় করলেন আমীর। সিনেমাটি সফল হলনা। চার বছরপর প্রযোজক নাসির হুসেন সিনেমা বানালেন কিয়ামাত সে কিয়ামাত তাক। ছবিটি পরিচালনা করলেন নাসির হুসেনের ছেলে মান্সুর খান। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করলেন আমীর খান। ছবিটি হোল সুপার হিট। তারপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আমীর খানকে।
আসির দশকের বলিউডের সুপারহিট সিনেমা মানেই আমীর খান। জুহি চাওলা, মাধুরি দীক্ষিত, কারিশমা কাপুর সবার সাথেই জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সুপার হিট সিনেমা। সে সময় বলিউড নায়িকাদের স্বপ্নই ছিল আমীর খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করা।
আসি ও নব্বই দশকে দিল হায় কে মান্তা নাহি, যো জিতে অহি সিকেন্দার, দিল, আন্দাজ আপনা আপনা, রাজা হিন্দুস্থানি, বাজি, ইস্ক সহ ব্লগ বাস্টার সব সিনেমা বলিউডকে উপহার দিয়েছেন আমীর খান।
২০০৭ সালে তারে জামিন পার নির্মাণ করে বলিউডে নতুন পরিচয়ে পরিচিত হন। তাঁর অভিনীত থ্রি ইডিয়ট সিনেমা বলিউডের আগের সন রেকড ভেঙ্গে বক্স অফিসে গড়ে নতুন ইতিহাস। আমীর খান অভিনীত লাগান ও রাং দে বাসান্তি সিনেমা দুইটি মননয়ক পায় আস্কারের জন্য।
রোমান্টিক কিংবা দেশ প্রেম আকশান কিংবা কমেডি সব খানেই আমীর দেখিয়েছেন তার অভিনয়ের জাদু। ২০০৩ সালে অর্জন করেছেন পদ্মশ্রী ২০১০ সালে পদ্মভূষণ । ২০১৩ সালে বিশ্বের ১০০ সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।
মহান অভিনেতা ১৯৬৫ সালের আজকের দিনে মুম্বায়ে জন্মগ্রহন করেন। আমীর খানের ৫৫ তম জন্মদিনে বিজয় টিভির পক্ষথেকে শুভেচ্ছা।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি