দেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার জহির রায়হান। চলচ্চিত্রে জহির রায়হানের আগমন ১৯৫৭ সালে। ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ ছবিতে কাজ করেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে।
১৯৬১ সালে ‘কখনো আসেনি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জহির রায়হান। ছবিটি ব্যাবসা সফল না হলেও চলচ্চিত্র বোদ্ধা মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ছবিটি।
চলচ্চিত্র ছাড়াও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর চলচ্চিত্রের ভাষায় বিভিন্ন ভাবে ফুটে উঠেছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতা। সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ভাষা আন্দোলনে। ভাষা আন্দোলন গভীর প্রভাব ফেলেছিল তার ওপর, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেয়া ছবিতে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে কলকাতায় চলে যান জহির রায়হান। সেখান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। কলকাতায় তার নির্মিত চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেওয়ার বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয় এবং চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের উপর তাঁর নির্মিত তথ্যচিত্র স্টপ জেনসাইড ও লেট দেয়ার বি লাইট বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনীর বর্বরতাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে।
মাত্র তেরটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে গড়েছেন করেছেন ইতিহাস। শেষ বিকেলের মেয়ে হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন, বরফ গলা নদীসহ লিখেছেন অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাস।
বাংলাদেশ দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭১ এর ১৭ ডিসেম্বর আল বদর বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হলে আর ফিরে আসেননি জহির রায়হান।
১৯ আগস্ট বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই প্রবাদ পুরুষের ৮৫ তম জন্মদিন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি