চিত্রনায়ক সালমান শাহ মারা যান ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। মামলার তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডির দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।
২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেন সেখানে।
মামলাটি এরপর তদন্ত করে র্যাব। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট আদালদের আদেশে তদন্ত থেকে সরে যায় র্যাব। তখন থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহ’র মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে পিবিআই। পারিবারিক কলহের জের ধরেই সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে পিবিআই’র তদন্তে উঠে এসেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য আগামী ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি