ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত মাসে গাজার শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র হামাস ও ইসরায়েলির বাহিনীর মধ্যে কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। আর এরপর থেকেই সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের দেহ। আর এতে করে বেড়েই চলেছে প্রাণহানির সংখ্যা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ২২ জনের দেহ উদ্ধার করেছেন।
এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩১৯ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৯ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং সড়কে পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে নৃশংস আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।