ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জামালপুরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রথম দফায় বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের বন্যার পানির ধীর গতিতে কমার মধ্যেই আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে রয়েছে। কোথাও কোথাও আবার সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের ত্রাণ এখনো পৌঁছায় নেই। দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। মানুষের কাজ নেই। হাতে টাকা নেই। সব মিলিয়ে দিশাহারা বন্যার্ত মানুষেরা। এখনো অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সড়কের পাশে ও সেতুর ওপর আশ্রয় নিয়ে আছেন।
দুর্গত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামপুরের চিনাডুলী, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, বেলগাছা, সাপধরী ইউনিয়ন এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন ও পৌরসভার উঁচু এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও ফের কিছু কিছু জায়গায় আবার পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ২ লাখ ৫০ হাজার ২২৮ জন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে রাস্তাঘাট, হাটবাজার, ফসলি জমি, মৎস্য খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।