ব্যাংক খাতে লুটপাট, দখল, অনৈতিক সুবিধা ও নানা অনিয়মের সহযোগিতা করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর ও উপদেষ্টাদের বিতাড়িত করেছেন সাধারণ ব্যাংকাররা। ঘটনার সময় কার্যালয়ে ছিলেন না গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ ব্যাংকাররা। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মকর্তারা ‘ভুয়া ভুয়া’, ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দিয়ে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে চরম অস্থিরতা শুরু হয়। বিক্ষুধ্ব একদল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, চার ডেপুটি গভর্নর, উপদেষ্টা ও আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন।
এক পর্যায়ে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভবনে অবস্থিত গভর্নরের ফ্লোরে ঢুকে পড়েন এবং একজন ডেপুটি গভর্নরকে সাদা কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। যদিও এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন যে নতুন উপদেষ্টার কাছেই তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দিবেন। কিন্তু বিক্ষুধ্ব কর্মকর্তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ব্যাংক ছাড়েন কাজী ছাইদুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চার ডেপুটি গভর্নর এবং আর্থিক গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান বিক্ষুধ্ব কর্মকর্তাদের দাবির মুখে ‘পদত্যাগ’ করেছেন এবং যারা কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, তারা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছেন। এ সময় সেনাসদস্যরা তাদের নিরাপত্তা দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এই কর্মকর্তারা সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।