ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করা কখনই সহজ নয়। কিছু দিন আমরা একনিষ্ঠতার সঙ্গে এটি অনুসরণ করি ঠিকই, এরপর কেমন যেন সবকিছু খাপছাড়া হয়ে যায়। ওজন কমানোর ডায়েট অনুসরণ করার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ হলো যখন তখন ক্ষুধা লাগার সমস্যা দূর করা। দিনের মাঝামাঝি সময়ে বা রাতে হোক না কেন, এ ধরনের ক্ষুধা হুট করেই অনুভব হতে পারে। তবে হতাশ হবেন না। প্রাকৃতিকভাবেই ক্ষুধা দমন করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সম্প্রতি পুষ্টিবিদ এবং ওজন কমানোর প্রশিক্ষক সিমরান খোসলা তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ক্ষুধা দমনকারী কিছু খাবারের কথা শেয়ার করেছেন। সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন এবং ওজন কমানোর যাত্রা সহজ করুন-
১. মেথি পানি
মেথি আমাদের রান্নাঘরের একটি সাধারণ মসলা। খোসলা পরামর্শ দেন যে, মেথি পানি পান করলে তা ক্ষুধা দমনের জন্য উপকারী হতে পারে। তিনি সকালের রুটিনে মেথির পানি যোগ করার পরামর্শ দেন। যেহেতু মেথিতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, তাই এই পানি পান করলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। তাই এই পানীয় সকালে পান করলে যখন-তখন ক্ষুধা লাগার সমস্যা দূর করতে পারবেন।
২. ইসবগুল
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ইসবগুলের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি আপনার ক্ষুধা নিবারণ করতেও সাহায্য করতে পারে? সাইলিয়াম ভুসি নামেও পরিচিত ইসবগুল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং সারা দিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চামচ ইসবগুল যোগ করুন, এটি ভালভাবে মিশিয়ে সকালে পান করুন।
৩. গ্রিন টি/ব্ল্যাক কফি
আপনি কি এক কাপ চা বা কফি দিয়ে আপনার দিন শুরু করতে চান? যদি তাই হয়, তাহলে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি বেছে নিন। এই দুটি পানীয়তেই ক্যালোরি কম। সেইসঙ্গে এগুলো ক্ষুধা দমন করতে এবং বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, গ্রিন টি এবং ব্ল্যাক কফি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে কমে বার বার খাওয়ার অভ্যাস।
আরও পড়ুন: এমপি আনার খুন: ঢাকায় আসছে ভারত পুলিশের স্পেশাল টিম
পুষ্টিবিদ সিমরান খোসলা ডায়েটে উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যোগ করার পরামর্শ দেন। ফাইবার আমাদের দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিতৃপ্ত রাখে একথা তো সবারই জানা। ফল, শাক-সবজি বা দানা শস্য- যাই হোক না কেন, এগুলোর সবই বেশ কার্যকর এবং অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমায়। কিছু উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যা আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে ওটস, ব্রকলি, ছোলা, আপেল, মটরশুটি ইত্যাদি।
৫. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার পরিমিত পরিমাণে খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে পারেন। পুষ্টিবিদ ব্যাখ্যা করেন যে, উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রিত হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং আপনাকে অনবরত খাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে। কার্বোহাইড্রেটের চেয়ে প্রোটিন হজম হতে বেশি সময় নেয়, এইভাবে ক্ষুধা দমন করে। ডিম, দই, চিনাবাদাম, মসুর ডাল এবং বাদাম হলো প্রোটিনের কিছু বড় উৎস। এগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি।