বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণে এবং হতাহতদের পরিবারের সাহায্যার্থে গঠিত জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে এ ফাউন্ডেশন।
ইতোমধ্যে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
নাহিদ জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে আহতদের জন্যও সহায়তা কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়া মাসিক ভিত্তিতে হতাহতদের সহায়তার পরিকল্পনাও আছে।
এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় ৮০০ নিহত এবং ২০ হাজারের বেশি আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০০ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। সব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শেষ হলে স্মরণসভা করা হবে।
আরও পড়ুন- প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসররা চক্রান্ত করছে: ফখরুল
এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও জুলাই শহীদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ উপস্থিত ছিলেন।
স্নিগ্ধ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১০০ কোটি টাকার একটি চেক দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। এখন সবাই এখানে অনুদান দিতে পারবেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং আন্দোলনে প্রাণ হারানো মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়। ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ করা হয় কাজী ওয়াকার আহমেদকে। কার্যনির্বাহী পরিষদে উপদেষ্টাদের মধ্যে আরও আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।