1. junayed@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  2. dcm01@bijoy.tv : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  3. rafi@bijoy.tv : বিজয় নিউজ ডেস্ক : বিজয় টিভি নিউজ ডেস্ক
  4. rubel@bijoy.tv : support_admin :
নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত
ঢাকা রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন

নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত

বিজয় টিভি নিউজ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে
নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নেত্রকোনার পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব উপজেলার শতাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে মানুষের বসতঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমির রোপা আমন ধানের ক্ষেত এবং ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজি। ভেসে গেছে দুই শতাধিক খামার ও পুকুরের মাছ। বন্ধ রয়েছে ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ অবস্থায় অনেকে বসতবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি এবং গ্রামের উঁচু স্থানে বা সেতুতে পরিবার ও গৃহপালিত প্রাণীসহ আশ্রয় নিয়েছেন।

বর্তমানে জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে। তবে গোখাদ্যসহ শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে রয়েছেন পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ।

জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা, বারহাট্টা ও সদর উপজেলার মধ্যে দুর্গাপুর এবং কলমাকান্দা উপজেলার কমপক্ষে ১৫টি ইউনিয়নের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘ঘরের ভেতরে বন্যার পানি ঢুইক্কা পড়ছে। ঘরে থাহনের মতো কোনও জাগা নেই। তাই ঘর ছাইড়ে গত তিন দিন ধইরে গেরামের পুলের (সেতু) উপরে গরু-বাছুর লইয়া আশ্রয় নিছি। এইহানত লড়নের কোনও জাগাও নাই। খাওন আনার লাইগ্গে নৌকা দে বাজারে যাওন লাগে। খুব কষ্টে আছি আমরা।’

একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার চার একর জমির আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। বাড়িঘরে পানি। পানি কমলেও এই ধান আর রক্ষা করা সম্ভব না। আমার সব শেষ।’

জেলার জারিয়া জাঞ্জাইল বাজার এলাকার বাসিন্দা আমিনুল হক বলেন, ‘আমার এক একর জমির খামারে ২ লাখ টাকার মাছের পোনা ছেড়েছিলাম। কিন্তু বন্যার পানিতে সব ভেসে গেছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান জানান, বন্যায় জেলায় ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এবং ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজি তলিয়ে গেছে। পানি এক-দুই দিনের মধ্যে সরে গেলে হয়তো তলিয়ে যাওয়া সব ধান বিনষ্ট হবে না। তবে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করতে দু-তিন দিন সময় লাগবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাহান কবীর বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ২০৩টি ফিশারি-পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জেলার ১৮৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে পানি সরে গেলে দ্রত বিদ্যালয়গুলোতে পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।’

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন যতদিন না স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, ততদিন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

জেলহত্যা দিবস আজ

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি

রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমল

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

Enjoy dating in a safe and protected environment

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

Have fun with local girls looking for sex tonight

শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

সাম্প্রতিক পোস্ট

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বসত্ব সংরক্ষিত ২০২৪ বিজয় টিভি || All Rights Reserved.