কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে অন্য উপদেষ্টারাও ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহিদদের স্মরণে তিনি কিছু সময় দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়।
প্রধান উপদেষ্টার পর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্য উপদেষ্টারা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য উপদেষ্টারা। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। বঙ্গভবনের বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর বাকি ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথ পাঠ করেন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুকী আযম।
এদিকে দায়িত্ব নেয়ার পর এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, শুক্রবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের, সুবিচারের, মানবাধিকারের, নির্ভয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সবার স্বাচ্ছ্যন্দে জীবন ধারণে সরকারের সহযোগিতা সবাই উপভোগ করবেন। এটা আমাদের সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের সহায়তা করুন।