যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। লাইলাতুল মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই মূল্যবান রাত কাটান।
অনেকে নফল রোজাও রাখেন এ দিন। পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষ্যে সোমবার বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিরাজুন্নবির (সা.) গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক সরকার সারোয়ার আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ দিনে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। আল্লাহ শবে মিরাজে নামাজ পড়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
ইসলামে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াতের দশম বছরে বা ৬২১ খ্রিষ্টাব্দের এক রাতে তিনি কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ বা আল-আকসা মসজিদে গমন করে নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন।
তাঁর মসজিদুল আকসায় গমনের এ ঘটনাকে কোরআনের ভাষায় ‘ইসরা’ বলা হয়। সেখান থেকে তিনি ‘বোরাক’ নামের বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন এবং এ ঘটনাকে ‘মিরাজ’ বলা হয়। এ সফরে তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)।
এই মেরাজের মাধ্যমেই নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ (ফরজ) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়। এ জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে, বাড়িতে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটান।