অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি এনে দিতে আমাদের অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। মাতৃভাষার জন্য জীবনদানের এমন ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃভাষার চেতনা ও মর্যাদা রক্ষার প্রেরণা ও এ চেতনার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকতার সূত্রে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। বিশ্বের সব মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার ইতিবৃত্তকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দফতরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানুষের পরিচয়ের মূলেই মাতৃভাষা রয়েছে। সকলকে নিজের মাতৃভাষার গুরুত্ব বুঝতে হবে। অন্যথায় থ্রি জিরো তত্ত্ব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে না। কারণ কাউকে পেছনে রেখে এগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাতৃভাষাতেই অভ্যন্তরীণ অভিব্যক্তির যথার্থ প্রকাশ হয়। জুলাই অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশ নির্মাণের ইতিহাসে মাতৃভাষার বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। ভাষায় জাতিগত, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকে। এর ফলেই জাতিগুলোর মধ্যে এত বৈচিত্র্য দেখা যায়।