জার্মান প্রাণীবিজ্ঞানী জোহান ১৭৭৩ সালে প্রথম এই প্রাণীটির খোঁজ পান। বিশেষ এই প্রাণীটির নাম হচ্ছে টারডিগ্রেড। জানা গেছে, এটি প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া না করেই বাঁচতে পারে। খাবার না খেয়ে এতো লম্বা সময় বেঁচে থাকার প্রক্রিয়াকে বিজ্ঞানের বলা হয়ে থাকে “ক্রিপ্টোবায়োসিস”।
বলা হয়ে থাকে, এই প্রক্রিয়ায় এই প্রাণীটি নিজের শরীরের সব মেটাবলিজম প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় ও এর ফলে জলের পরিমাণ একদম কমে গিয়ে তার নিজের শরীর সম্পূর্ণ শুষ্ক হয়ে যায়। প্রাণীটির এই সহ্য ক্ষমতা সত্যিই অবাক করেছে সবাইকে। এর আকার মাত্র শূণ্য দশমিক ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১ মি.লি. মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, এই প্রাণীর রয়েছে ছোট ছোট আটটি পা এবং নিজস্ব এক পাচনতন্ত্র। ক্ষুদ্র এই প্রাণীটির পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম স্থান অয়মিয়াকনে বাস করতেও সমস্যা হয় না। শীতকালে অয়মিয়াকনের তাপমাত্রা নেমে যায় প্রায় -৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সেখানে তারা কোনো বাধা ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে।