মায়ের সঙ্গে এক পুরুষের অনৈতিক কর্মকাণ্ড মেনে নিতে না পেরে জীবন দিতে হলো মেয়েকে। তবে বাঁচতে পারলেন না মা-ও। কথিত প্রেমিক মেয়েকে হত্যার পর মাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তার মাথাও আলাদা করে নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনাটি রংপুরের পীরগঞ্জের চতরার। পুলিশ কথিত প্রেমিক আতিকুরকে গ্রেফতার এবং মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আতিকুরের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের পীরগঞ্জের চাতরা বদনা বাজার এলাকার পুলিশের ক্রাইম সিনের ফরেনসিক টিম পরীক্ষার পরে নিশ্চিত করে নিহতের নাম দেলোয়ারা। এ নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের পর এই ঘটনায় শনিবার একই এলাকার আতিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক তথ্য।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে যাত্রাদলের নাট্যকর্মী দেলোয়ারাকে স্ত্রী পরিচয়ে বাড়িতে আনে আতিকুর। তার সাথে ছিল ৬ বছর বয়সী মেয়ে সায়মা। মায়ের সাথে আতিকুরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে শিশুটি। পরে শিশু সায়মাকে হত্যা করে বাড়ির পাশে পুতে রাখে আতিকুর। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে শুক্রবার দেলোয়ারাকে গলা কেটে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেয়া হয় বিচ্ছিন্ন মাথা। আতিকুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার শিশুটির মরদেহ ও মায়ের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।