ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক-বিমা-অফিস-আদালত, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার।
গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে উদযাপিত হয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষ্যে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সপ্তাহিক ছুটি ও ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাংলা নববর্ষের ছুটি রয়েছে। ফলে ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি কাটাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।
টানা পাঁচ দিন ঈদের ছুটি শেষে সোমবার অফিস পাড়ায় যোগ দেবেন কর্মজীবীরা। তাতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে সব জায়গায়।
তবে যারা ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন সরকারি-বেসরকারি বেশিরভাগ কর্মজীবী তাদের অনেকে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস আদালতে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরো কয়েকদিন লেগে যাবে। এছাড়া স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তখন স্বাভাবিকরূপে ফিরবে রাজধানী।
আগের বছরগুলোতে দেখা গেছে ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে অফিস পাড়ার তেমন কর্মব্যস্ততা থাকে না। সহকর্মীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে ব্যস্ত থাকেন। একইভাবে ব্যাংকপাড়ায়ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লেনদেনও খুব একটা হয় না।
ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক-বিমা-অফিস-আদালত, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রথমবারের মতো টানা ৬ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদের তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদপত্রের কর্মীরা। তবে রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির একদিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় মাঝে একদিন মাত্র ফাঁকা থাকে। এ কারণে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণা দেয় নোয়াব। ফলে টানা ছয়দিন ছুটি পান সংবাদপত্রে কর্মরত কর্মীরা।
এদিকে সংবাদপত্রের কর্মীরা ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি পেলেও এ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অনেক টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ ছুটি দেননি। ফলে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল স্বাভাবিক নিয়মের চারদিন ছুটি পেয়েছেন তারা।