শীতের তীব্রতা কাটিয়ে আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানগুলোতে ফুটেছে মুকুল। প্রতিটি গাছ থেকে আসছে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আম উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে, গত বছরে করোনার কারণে হওয়া ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আশায় বুক বাঁধছেন আমচাষিরা।
ফাল্গুনের শুরু থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে আমের শাখে অলংকার রূপে দোল খাচ্ছে মুকুল। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাগানে বাগানে মুকুলের মড়ক নিয়ন্ত্রণ, পোকা দমনসহ গাছ সবল রাখতে বাগান মালিকরা বাড়িয়েছেন পরিচর্যা। দেয়া হচ্ছে কীটনাশক, গাছের জৈব খাবার ও পানি।
তবে বাগান মালিকরা মনে করছেন, এ বছর আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। তবে মুকুল ফোটা দেখে স্বপ্ন দেখছেন গত বছর ব্যাপক লোকসানে পড়া আমচাষিরা।
এদিকে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে বলে জানালেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
জেলায় ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।