যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-কে পরাজিত করার লড়াই এখনও শেষ হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ৮০ সদস্যের গ্লোবাল কোয়ালিশনের ডিফিট আইএসআইএস-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় আঞ্চলিক পর্যায়ে গোষ্ঠীটির পরাজয় ঘটেছে, তাদের নেতাদের হটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বড় ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা গেছে।
তবে আইএসকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে যে মনোনিবেশ করতে হবে বলে ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেছেন।
ভাষণে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরাক ও সিরিয়ার জন্য ৬০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা ঘোষণা করেছেন।
ব্লিঙ্কেন ওই অঞ্চল থেকে প্রত্যাবাসন করার বিষয়েও আলোচনা করেন। আইএসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যেসব দেশের নাগরিকেরা ইরাক ও সিরিয়ায় গিয়েছিল এবং এখনও কারাবন্দি তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তা যদি না করা হয় তা হলে ওই সব যোদ্ধা একদিন মুক্ত হয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ফিরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে শিশুদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে যাতে তারা আশা করতে ও সুযোগ পেতে পারে।
বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ছোট দেশসহ অনেক দেশ এগিয়ে এসে প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করেছে এবং তা অবশ্যই প্রশংসনীয় তবে বেশ কয়েকটি ধনী দেশ তা করেনি। তিনি এই পদক্ষেপের অভাবকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করে বলেছেন, জোটের অংশ হওয়ার অর্থ আপনাকে অবশ্যই আপনার দায়িত্বপালন করতে হবে।
ব্লিঙ্কেন আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলসহ আফগানিস্তানে আইএসের সহযোগী সংগঠনগুলোর হুমকি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলার জন্য একই সঙ্গে এগিয়ে চলা, সতর্ক থাকা এবং আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা