ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘১৩৬ ইসরায়েলি এখনও গাজা উপত্যকায় বন্দি রয়েছে, যার মধ্যে ৩ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন যাদের প্রাথমিকভাবে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পরে জানা যায় তারা গাজায় বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন।’
টানা প্রায় তিন মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে আটক থাকা বেশিরভাগ বন্দিকেই উদ্ধার করতে পারেনি ইসরায়েল। তিন মাসের টানা সংঘাতের পর এখনও ১৩৬ ইসরায়েলি হামাসের হাতে আটক রয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা এবং সামরিক অভিযানসহ সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে অবশ্য ইসরায়েলি কর্মকর্তা এবং মিডিয়ায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, গাজা উপত্যকায় ১২৯ জন বন্দি রয়েছেন। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলছেন তাদের সংখ্যা ১৩৬ জন।
এতে করে গাজায় হামাসের হাতে আটক থাকা বন্দিদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে ইসরায়েলেই পরস্পরবিরোধী পরিসংখ্যানের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচার-গণহত্যার জবাব দিতে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের এই হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ১২০০ ইসরায়েলি। নিহতদের প্রায় ৩০০ জন সেনাসদস্যও ছিলেন। এছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ আরো দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মুক্তি দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে মুখে মুক্তির দাবি জানালেও গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। অবিরাম এই হামলায় গাজায় এরইমধ্যে ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া নজিরবিহীন এসব হামলায় গাজায় অবস্থান করা অনেক ইসরায়েলি সেনাসহ হামাসের হাতে থাকা বেশকিছু জিম্মিও নিহত হয়েছে।