তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালি যেতে চাওয়া অন্তত ৪০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ছয়দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা।
নিখোঁজদের সন্ধানে পরিবারের লোকেরা তিউনিশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহে ৪৫ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে লিবিয়া থেকে একটি নৌকা ছেড়ে এসেছিল। সেটির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি একটি সংস্থার খবর, ওই নৌকায় ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল। একই দিন ইতালীয় কোস্টগার্ডও একই তথ্য জানায়।
গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) তিউনিশিয়ার উপকূলরক্ষীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর স্ফ্যাক্স থেকে গত ১১ জানুয়ারি রাতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একটি নৌকা নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন। কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও তাদের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা। এরপর বিষয়টি উপকূলরক্ষীদের জানানো হলে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান শুরু হয়। একই দিন ইতালির কোস্টগার্ডও এ কথা জানায়।
এদিকে, স্বজনদের খোঁজে নিখোঁজ অভিবাসীদের পরিবার তিউনিশিয়া স্ফ্যাক্স গভর্নরেটের এল হেনচা গ্রামে বিক্ষোভ শুরু করেছে। তারা গ্রামের চারপাশে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের খোঁজা হচ্ছে ও অনুসন্ধান প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হলে তারা এ বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়।
যারা নিখোঁজ হয়েছেন তারা সবাই তিউনিশিয়ার বাসিন্দা বলে দাবি করছে আল জাজিরা। খবরে বলা হয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে তিন-চারজন বাদে বাকি সবাই স্ফ্যাক্স গভর্নরেটের এল হেনচা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বয়স ১৩ থেকে ৩৫ বছর।
নৌকাডুবিতে আলী নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার বিক্ষোভের সময় তার ভাই মোহাম্মদ জলাইলও ছিলেন। আল জাজিরার সাংবাদিক তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আলী চলে যাওয়ার পর থেকে তার ব্যাপারে পরিবার কোনো তথ্য পায়নি। তারা আলীর একটি খবরের জন্য মরিয়া হয়ে আছেন। ভাইয়ের শোকে মায়ের অবস্থায় খুবই খারাপ বলে তিনি জানান।