অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে জার্মানির কাছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির অবস্থান হারাল জাপান। এতে করে তারা এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
জাপান সরকারের প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বস এ তথ্য জানিয়েছে। অর্থনীতির সাধারণ সূত্র অনুসারে, টানা দুই প্রান্তিকে অর্থনৈতিক সংকোচন হলে বলা যায়, অর্থনৈতিক মন্দা চলছে।
জাপানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে জাপানের জিডিপি দাঁড়িয়েছে চার দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলার। একই সময়ে জার্মানির জিডিপি ছিল চার দশমিক চার ট্রিলিয়ান ডলার।
প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের শেষ, অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর আগের প্রান্তিকে, অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে অর্থনীতি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়, যদিও পূর্বাভাস ছিল যে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলোতে দেখা যায় যে ২০২৩ সালে জাপানের অর্থনীতির মূল্য ছিল প্রায় প্রায় ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যেখানে জার্মানির অর্থনৈতিক মূল্য ছিল ৪ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন।
জাপান ও জার্মানির অর্থনীতিতে প্রধান সমস্যা হলো, শ্রমিকদের সংখ্যা কম, জন্মহার কমছে, বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তবে জার্মানির থেকেও জাপানের সমস্যা আরো বেশি।
গতবছর তাদের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে এক দশমিক নয় শতাংশ হারে বেড়েছে। গত দুইটি কোয়ার্টারে তা সংকুচিত হয়েছে। এছাড়া উন্নত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে জাপানি মুদ্রা ইয়েন অনেক দুর্বল। এই দুর্বলতার প্রধান কারণ ছিল জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিল মুদ্রানীতি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মন্দা কাটিয়ে উঠলেও জাপানের প্রবৃদ্ধির পালে তেমন একটা হাওয়া লাগবে না। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, জাপানের গার্হস্থ্য সঞ্চয়ের হার নেতিবাচক।
১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের দেশ জাপান আয়তনের দিক থেকে আট কোটি ৩০ লাখ মানুষের জার্মানির থেকে ছোট। জাপানের খ্যাতি উচ্চপ্রযুক্তির জিনিস এবং গাড়ি তৈরির জন্য।
দীর্ধদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপানই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ছিল। কিন্তু এখন চীন সেই জায়গা দখল করেছে।