চলতি বছর ২০২৪ সালের জুন মাসে ৯ দিনের অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর কয়েকজন বিজ্ঞানীর বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য। তাদের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, এবছর জুনে অস্বাভাবিক গরমে ভুগেছে বাংলাদেশের ১৭ কোটিরও বেশি লোক।
এই অস্বাভাবিক গরমের কারণ হিসেবে ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ নামের একটি সংস্থার প্রধান অ্যান্ড্রু পার্সিং বলছেন, ‘গত ১০০ বছর ধরে কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর কারণে বিশ্ব এখন আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরও বলছেন, ‘এ বছরের গ্রীষ্মে যে তাপপ্রবাহ দেখা গেছে এটি অপ্রাকৃতিক বিপর্যয়। আর যতদিন পর্যন্ত কার্বনের দুষণ বন্ধ না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়ে রূপ নেবে।’
ক্লাইমেট চেঞ্জ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অসহনীয় গরম পড়েছে। এই গরমে জুন মাসে বিশ্বের ৫০০ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ভারতের ৬১ কোটি ৯০ লাখ, চীনের ৫৭ কোটি ৯০ লাখ, ইন্দোনেশিয়ার ২৩ কোটি ১০ লাখ, নাইজেরিয়ার ২০ কোটি ৬০ লাখ, ব্রাজিলের ১৭ কোটি ৬০ লাখ, বাংলাদেশের ১৭ কোটি ১০ লাখ, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ কোটি ৫০ লাখ, ইউরোপে ১৫ কোটি ২০ লাখ, মেক্সিকোতে ১২ কোটি ৩০ লাখ, ইথিওপিয়ায় ১২ কোটি ১০ লাখ এবং মিসরে ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অসহনীয় গরমের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়েছিল। যেটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১৬ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আরও অন্তত ৩ বার পরিলক্ষিত হয়েছিল।’