ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবির পর ইরানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের। ইসরাইল দাবি করেছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে তাদের বিমান হামলায় হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন।
তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নির্ধারণে হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে তেহরান।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রথম ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে দেশটির সেনাবাহিনীর বরাতে নাসরুল্লাহ হত্যার খবর প্রকাশ করা হয়। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী আইডিএফের এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হাসান নাসরুল্লাহ আর বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন না।’
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈরুতে বিমান হামলায় তারা হিজবুল্লাহর দীর্ঘকালীন নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। হাসান নাসরুল্লাহ ছাড়াও নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডার।
তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ বৈরুতে ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলার পর হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর নাগাল পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি বলেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। হিজবুল্লাহর সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।