মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নতুন গোপন স্থানে পুনরায় শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, তেহরান এখনও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করেনি এবং আন্তর্জাতিক পরিদর্শনেও সম্মতি দেয়নি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা স্থায়ীভাবে পেছনে ঠেলে দিয়েছি। তবে এটা স্পষ্ট, তারা কিছু গোপন স্থানে কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তারা এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে পূর্ণাঙ্গভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি। এমনকি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাগ করেনি।”
এদিন গাজা যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তি নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, “হামাস আমাদের প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। আমি মনে করি, আগামী সপ্তাহেই একটি চুক্তি সম্ভব।”
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘাতের সময় মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে দেশটির কয়েকটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় পেন্টাগন। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, ইরান এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিচ্ছে না এবং তাদের কিছু কেন্দ্রের কার্যক্রম পুরোপুরি অজানা রয়ে গেছে।
ইরানের পক্ষ থেকে এখনও ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্যের সরাসরি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আগের এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেয়ি বলেছিলেন, “আমরা পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য নয়, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করি। কিন্তু যখন আমাদের বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করা হয়, তখন আত্মরক্ষা করাও আমাদের অধিকার।”
তেহরান বারবার বলছে, তারা পরমাণু কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে এবং পশ্চিমা হামলাই অঞ্চলটিকে অস্থির করে তুলছে।