আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ ডাইনোসরও নিয়ে গিয়েছেন রবার্ট এল বেনকেন (বব) এবং ডগলাস জি হার্লে (ডাগ)। ছোট হলেও বেশ ঝলমলে। নাম ট্রেমর। মাধ্যাকর্ষণের টান ছাড়িয়ে দিব্যি ভেসে বেড়াচ্ছে সে। ‘রাতে ভাল ঘুমিয়েছেও,’ জানিয়েছেন বব। এ বার আর্থ-এর সঙ্গে দেখা হবে ট্রেমরের।
আর্থ ছোট খেলনা গ্লোব, আগের বার মালপত্র পৌঁছে দেওয়ার সময় স্পেসএক্সের মানবহীন রকেট রেখে গিয়েছিল এটি। এ বার এল বব-ডাগের দুই ছেলের প্রিয় খেলনা, ট্রেমর। ফ্যালকন-৯ রকেট শনিবার ফ্লরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে মাটি ছাড়ার পরই ট্রেমরের বন্ধু অর্থাৎ খেলনা ডাইনোসোর বিক্রি শুরু করেছিল স্পেসএক্স। কিছু ক্ষণের মধ্যেই স্টক শেষ। ১১ বছর পর নিজেদের দেশ থেকে, দেশেরই রকেটে চাপিয়ে, নিজেদের দুই নভশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে পারায় এতটাই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। অনেকেই একে নতুন যুগের সূচনা বলে মনে করছেন।
উচ্ছ্বসিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করে দিয়েছেন, ২০২৪-এ ফের চাঁদে ফিরবে আমেরিকা। এ বারে পাকিপাকি ভাবে। মঙ্গলে যাওয়ার জন্য চাঁদে লঞ্চিং প্যাড তৈরির কাজ শুরু হবে। সঙ্গে ট্রাম্পের ঘোষণা, “এ বারে চাঁদে যাবেন মহিলা নভশ্চর। তিনিই হবেন, চাঁদে পা-রাখা বিশ্বের প্রথম মহিলা। মঙ্গলেও প্রথম মানুষ পাঠাবে আমেরিকা। কোনও ক্ষেত্রেই আমরা দু’নম্বরে থাকব না।”
২০২২-এ গগনযানে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। চার জন তার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন রাশিয়ায়। ইসরো অভিনন্দন জানিয়েছে নাসা ও স্পেসএক্সকে।
মোটে খুশি নয় রাশিয়া। তাদের মহাকাশ সংস্থা রোসকসমস ট্রাম্পের ঘোষণার পরই জানিয়ে দিয়েছে, তারাও বসে থাকবে না। বব-ডাগ আইএসএসে ঢোকার পরে অভিনন্দন জানালেও, রোসকসমস-এর মুখপাত্র ভ্লাদিমির উস্তিমেঙ্কো মন্তব্য ছুড়েছেন, “এত উন্মাদনার কী হয়েছে, বুঝছি না। অনেক আগেই যেটা হওয়ার ছিল, এখন সেটা হল।”
বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে নাসার গাঁটছড়া নিয়ে রোসকসমসের প্রধান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজ়িন এক সময় খোঁচা দিয়েছিলেন, “এক দিন ওয়াশিংটনকে হয়তো আইএসএসে মানুষ পাঠাতে ট্র্যাম্পোলিনের সাহায্য নিতে হবে।” রবিবার তার জবাবে স্পেসএক্সের কর্ণধার এলন মাস্ক বলেন, “ট্র্যম্পোলিন কাজ করছে!” টক্কর যে জমে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট।
সূত্র: আনন্দবাজার