জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬৩ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬০৯ জন।
এছাড়া কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সারা বিশ্বের ৪৮ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শনিবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৭৪ এবং ৬ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৬ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
করোনায় ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৬১ জনের এবং রাশিয়ায় মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৭০ জন।
রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৬ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩ হাজার ৮৬৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া আরও ৪০ জনের মৃত্যুবরণের মধ্যদিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৬১ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৬টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ২৭৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৮ হাজার ৪৯৮টি।
দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৯১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮. ৭২ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩১ এবং নারী ৯ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন এবং বাড়িতে ৯ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৬৩৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ১৩৩ জন। সুস্থতার হার ৪০.৭২ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৪ জন এবং চট্টগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ জন মারা গেছেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র: ইউএনবি