জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ৭৭৯ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ কোটি ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩৮ জনে।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৫৯ হাজার ৫৯৪ জন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯২৯ জনে। তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৩ জনের।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩২২ জনের।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি:

বাংলাদেশে এক দিনে রেকর্ড ৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আরও ৩ হাজার ৬৮২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৬টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৬৩টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৮২ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। নতুন করে আরও ৬৪ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৭ জনে।

পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯.৯৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮. ৯৮ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৫২ এবং নারী ১২ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৫১ জন এবং বাড়িতে ১৩ জন। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ৩১ জন।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৬৪০ জন। সুস্থতার হার ৪০.৯৮ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র: ইউএনবি