নিয়ম মেনে না চলা হলে শীঘ্রই ১০০০০০ সংক্রমণ প্রত্যক্ষ করবে আমেরিকা। প্রতিদিন এই সংখ্যায় সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের জন্য সুরক্ষা আইন মেনে না চলছে শীঘ্রই এই দিন দেখতে হবে বলেও জানিয়েছেন টাস্ক ফোরস দফতরের ডাক্তার অ্যান্থনি ফুসি।
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, “প্রতিদিন দেশে ৪০ হাজারের বেশি ঘটনা সামনে আসছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যদি আমরা প্রতিদিন একলাখের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাই। যদি বর্তমান ছবির কোন পরিবর্তন না হয় তাহলে তা খগুব শীঘ্রই হতে চলেছে”।
বিশ্ব মহামারি নিয়ে এডুকেশন, শ্রম, পেনশন কমিটি এবং স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন বক্তব্যই রেখেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও, সাধারণ মানুষ একসঙ্গে জমায়েত করছেন, মাস্ক পরছেন না এবং গাইডলাইন মেনে চলছেন না। সদ্য পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ ২,৬২৮,০৯১ জন এবং মৃত্যু ছুঁয়েছে ১২৭,২৮৬ জন।
এদিকে ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ইইউয়ের সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য ব্রেক্সিট চুক্তির আলোচনার অধীনে নতুন নিয়মে করা হয়েছে।৩১শে ডিসেম্বর ব্রেক্সিট হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা ইউরোপের নাগরিকের সমান মর্যাদাই পাবেন।যে কারণে সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না ব্রিটিশ নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আপাতত নিরাপদ দেশের তালিকায় রয়েছে, আলজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, জাপান, মন্টেনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া এবং উরুগুয়ে।
তাছাড়া যুক্তরাজ্য এখন কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে ‘এয়ার ব্রিজ’ পদ্ধতি আয়োজনের চেষ্টা করছে, এর মানে হল ব্রিটিশ নাগরিকেরা ইউরোপের কোন দেশে গেলে যাতে তাকে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে না হয়।
আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটি মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা করতে চাইছে যুক্তরাজ্য। এর কারণ হল ইউরোপের ভ্রমণের জন্য এই সময়টা ব্যস্ততম। ইইউয়ের এই নিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকা এবং এর যোগ্যতা সম্পর্কে মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।ইইউভুক্ত রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অর্থাৎ অন্তত ৫৫ শতাংশ দেশ যাদের জনসংখ্যা ইউরোপের ৬৫ শতাংশের মত, তারা এই তালিকা অনুমোদন করেছে। সূত্র: কলকাতা ২৪