গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে চেংডুর কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বেইজিং।
সোমবার সকালের আগে এই কনস্যুলেট খালি করতে হবে। এর আগ আগে সেখানকার কর্মীদের ফাইলের বক্স এবং আবর্জনার স্তূপ বহন করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয় মানুষজন কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়ে চীনের পতাকা নাড়াচ্ছেন এবং সেলফি তুলছেন।
চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ‘চুরি’ করছিল, এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনের কনস্যুলেট বন্ধ করা নির্দেশ দেয় মার্কিন প্রশাসন।
কনস্যুলেট খালি করতে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা পার হওয়ার সময়সীমা শেষ হয় গত শুক্রবার। এরপর রিপোর্টারদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ভবনের দরজা ভেঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ‘চুরি’ করছিল।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, মার্কিন কনস্যুলেট থেকে ট্রাক বেরিয়ে যাচ্ছে এবং কর্মীরা ভবন থেকে কূটনীতিক প্রতীকগুলো সরিয়ে ফেলছে।
ভবনের বাইরে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে যারা দর্শনার্থীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং যেকোনো ধরণের উস্কানি ঠেকাতে চেষ্টা করছে।
১৯৮৫ সালে চেংডুর এই কনস্যুলেটটি স্থাপিত হয়েছিল, যেখানে থেকে তিব্বতসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করা হতো। এই কনসুলেটে দুইশ’র বেশি স্থানীয় কর্মী কাজ করতেন।
এই কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়ার পর বেইজিংয়ে দূতাবাসের বাইরে মেইনল্যান্ড চীনে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি কনস্যুলেট থাকছে। পাশাপাশি হংকংয়েও একটি কনস্যুলেট রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রেরও ওয়াশিংটনে দূতাবাসের পাশাপাশি চীনের আরও চারটি কনস্যুলেট রয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা