কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করা হয়।
সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত মোঃ মনিরুল ইসলাম সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। সন্ধ্যায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শুরু হয়। মিশরে অধ্যয়নরত ছাত্র, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসী বাঙ্গালীগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন । অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। বাঙালীর অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো আপোস করেননি। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি বহু কাঙ্খিত স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা শেখ মুজিবকে সপরিবারে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাতে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাঙ্গালীর ইতিহাস তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। সকল প্রবাসীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গড়ার কাজে যার যার সাধ্যমত অবদান রাখার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ই আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি