কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার না থামলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা বাদে বিশ্বে এর গতি ও মৃত্যুর হার কমেছে ।
হু এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘গত সপ্তাহে সারা বিশ্বে ১৭ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হন, মারা যান ৩৯ হাজার। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তার আগের সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্তের হার ৪ শতাংশ ও মৃত্যুর হাত ১২ শতাংশ কমেছে।’’ তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অর্থাৎ দ্বিতীয় সর্বাধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় নয়া সংক্রমণ বেড়েছে ২৮ শতাংশ ও মৃত্যু ১৫ শতাংশ। ভারতে সংক্রমণের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হলেও নেপালেও খুব দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে হু। গত সপ্তাহের তুলনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে লেবানন, তিউনিশিয়া ও জর্ডনে। হু বলেছে, ‘‘গত তিন সপ্তাহ যাবৎ ধারাবাহিক ভাবে ইউরোপীয় অঞ্চলে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে।’’
করোনা চিকিৎসায় সব দেশ প্লাজ়মা থেরাপির দিকে নজর দিলেও জাতিসংঘ সোমবার জানিয়েছে, করোনাজয়ীদের থেকে প্লাজ়মা নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার প্রক্রিয়া এখনও পরীক্ষামূলক স্তরে। হু-র বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথনও বলেছেন, ‘‘প্লাজ়মা থেরাপির ফলাফল এখনও সম্পূর্ণ না। এই মুহূর্তে যা প্রমাণ রয়েছে তা খুবই অস্পষ্ট।’’
সোমবার রাতে তাদের সর্বশেষ অতিমারি সংক্রান্ত রিপোর্টে হু জানিয়েছে, করোনায় সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। নতুন সংক্রমণের অর্ধেকই সেই দেশ থেকে। গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে যে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৬২ শতাংশই আমেরিকার। যার জন্য চিনকে দায়ী করে কোভিডকে ফের ‘চায়না ভাইরাস’ বলে বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে করোনা-যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানানোর এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘‘চায়না ভাইরাসটি দূর করতে হবে এবং সে কাজ হচ্ছেও।’’ সূত্র: আনন্দবাজার