আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কেনোশা গেলেন। জেকব ব্লেককে দেখতে নয়, বরং পুলিশের পাশে দাঁড়াতে।
বারবার তাঁকে এই সময় কেনোশা আসতে নিষেধ করেছিলেন উইসকনসিনের ডেমোক্র্যাট গভর্নর টনি এভার্স। তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্প এই সময় কেনোশা সফর করলে উত্তেজনা বাড়বে, পরিস্থিতি খারাপ হবে। কিন্তু ট্রাম্প সেই অনুরোধে কান দেননি। তিনি চলে যান কেনোশায়। সেখানে পুলিশের সাতটি গুলি খাওয়া রবার্ট ব্লেককে তিনি দেখতে যাননি, তিনি গেছিলেন গুলির পর সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এবং ডেমোক্র্যাটদের কড়া সমালোচনা করতে।
কেনোশায় ইতিমধ্যে বিভাজন সম্পূর্ণ। ট্রাম্পের সমর্থক ও ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ আন্দোলনকারীদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ট্রাম্প সমর্থকদের গুলিতে দুই জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। আবার এক ট্রাম্প সমর্থকেরও মৃত্যু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এই বিভাজনকে আরও বাড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
কেনোশায় বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার পথে সমর্থকরা ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। আর বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ট্রাম্প সোজা চলে গেছেন সেই এলাকায় যেখানে প্রচুর দোকান ভাঙচুর হয়েছে, আগুন ধরানো হয়েছে। তিনি একশ বছর পুরনো আসবাবপত্রের দোকানের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবকিছু দেখে ট্রাম্প বলেছেন, ”এটা মোটেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নমুনা নয়।”
বিক্ষোভের ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ট্রাম্প তাঁদের জন্য ক্ষতিপূণ ঘোষণা করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়েছেন ৪০ লাখ ডলার এবং পুলিশকে ১০ লাখ ডলার। আর সেই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। উইসকনসিনের গভর্নর এবং কেনোশার মেয়র ডেমোক্র্যাট। ফেডারেল বাহিনী পাঠানো নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ”ওঁরা ফোন করা পছন্দ করেন না। ওঁরা আদেশ দেয়া পছন্দ করেন।” ট্রাম্প এটা বুঝিয়ে দিতে ভোলেননি, যা হয়েছে, তার পিছনে ডেমোক্র্যাটদের দায় রয়েছে।
বাইডেনও কেনোশা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে মানবাধিকার সংগঠন এনএএসিপি বলেছে, ট্রাম্প বা বাইডেন কারও কেনোশা যাওয়া উচিত নয়। সূত্র: ডয়েচে ভেলে