মালয়েশিয়ায় করোনা রোধে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এক প্রকার স্থবির হয়ে গেছে। লকডাউনের পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বহাল রয়েছে চলবে আগামী পহেলা আগষ্ট পর্যন্ত ।
এমতাবস্থায় অধিক গণজমায়েত কে সরকার নিষিদ্ধ করেছে। প্রবাসীদের পাসপোর্ট চাহিদার গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশিদের হাতে দ্রুত পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে লকডাউনের মধ্যে গত তিন দিনে প্রায় আড়াই হাজারেরও অধিক পাসপোর্ট বিতরন করা হয়েছে বলে দুতাবাস সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া অতি সম্প্রতি বিধি নিষেধের মধ্যেও তিন প্রদেশে প্রায় প্রায দেড় হাজারেরও অধিক পাসপোর্ট বিতরন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দূতাবাস কর্মীরা অবিরাম দিন-রাত কাজ করে করোনার মধ্যেও প্রায় এক লাখ ৩০ হাজারেরও অধিক পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অ্যান্ড ভিসা শাখার প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার জানান, মালয়েশিয়া সরকার একটানা লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি কন্ডিশনাল মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (সিএমসিও), স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) জারি রেখেছে। এসব সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করে পাসপোর্ট সার্ভিস স্বাভাবিক রাখা কঠিন চ্যালেঞ্জ।’ইতিমধ্যে সেবা দিতে গিয়ে হাইকমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা রয়েছেন কোয়ারেন্টিনে।
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘পাসপোর্ট দ্রুত ডেলিভারি দিতে ইতোমধ্যে হাইকমিশনে ছয় জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং আরো লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।