নির্ধারিত গতির চাইতে বেশি জোরে গাড়ি চালিয়ে জরিমানার টিকিট পেয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের এমপি ফিওনা ওনাসানিয়া। সেই সামান্য জরিমানা থেকে বাঁচতে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। ফলে এখন তাঁকে জেলে যেতে হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালত তাঁকে তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছে।
ফিওনা ওনাসানিয়া ছিলেন বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপি। কিন্তু মিথ্যাচারের দায়ে পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত করার পরপরই দল তাঁকে বহিষ্কার করে। তবুও স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে বহাল আছেন তিনি।
রায় ঘোষণার সময় ওনাসানিয়াকে উদ্দেশ করে বিচারক স্টুয়ার্ড স্মিথ বলেন, ‘আপনি কেবল নিজেকে খাটো করেননি, যারা আপনাকে অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে করত তাদেরও হতাশ করেছেন। আপনি আপনার দল, আপনার পেশা এবং সংসদকেও ছোট করেছেন।’
যুক্তরাজ্যে গত ২৮ বছরের মধ্যে কোনো এমপির কারাদন্ড হওয়ার এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ১৯৯১ সালে ৩৭৩ পাউন্ডের (প্রায় ৪০ হাজার টাকা) ‘পোল ট্যাক্স’ না দেওয়ার অপরাধে ৬০ দিনের কারাদন্ড পান এমপি টেরি ফিল্ডস।
ঘটনাটি ২০১৭ সালের জুলাই মাসের। পিটারবারা আসনের এমপি ওনাসানিয়ার গাড়িটি ৩০ মাইলের গতিসীমার রাস্তায় ৪১ মাইল বেগে চলছিল। রাস্তায় লাগানো গতি পর্যবেক্ষক ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ে। স্বাভাবিক নিয়মেই গতিসীমা ভাঙার দায়ে তাঁর বাসায় জরিমানার টিকিট পাঠানো হয়। কিন্তু ওনাসানিয়া গতিসীমা ভাঙার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, ওই সময়ে গাড়ি তিনি চালাচ্ছিলেন না। এমনকি তাঁর ভাই ফেটাস ওনাসানিয়া দোষ কাঁধে নিয়ে আদালতে হাজির হন। দাবি করেন তাঁর বোন নয়, তিনিই ওই দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
বোনের দোষ কাঁধে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন ফেটাস ওনাসানিয়া। কিন্তু আদালত প্রমাণ পায় যে, এমপি ওনাসানিয়াই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গতিসীমা ভঙ্গের সময়ে তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করছিলেন। মিথ্যাচার এবং আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার দায়ে এমপি ওনাসানিয়াকে তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁর ভাই ফেটাস ওনাসানিয়াকে ১০ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ওনাসানিয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি