তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বামপন্থীরা ক্ষমতায় থেকেছে যে পশ্চিমবঙ্গে, সেখানেই তারা এখন কোণঠাসা। কিন্তু রোববারের ব্রিগেড নিশ্চয়ই তাদের আশাবাদী করবে। রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার এই চিরপরিচিত মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছিল ।
গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় তৃণমূলের ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিল। তারই পাল্টা সমাবেশ করে এর জবাব দিয়েছে বামফ্রন্ট। বলা যায় সমুচিত জবাবই হয়েছে। তা জনসমাগমের বিচারে অবশ্যই। এই সমাবেশে কলকাতাবাসীকে চমকে দিয়েছে। যে হারে এই সমাবেশে মানুষ যোগ দিয়েছে তাতে বাম নেতারা আপ্লুত হয়েছে। আর অন্যান্যরা অবাক হয়েছে।
অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে বাম নেতারা ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারকে হটানোর ডাক দিয়েছে। দাবি তুলেছে, বিজেপির হাত থেকে দেশ এবং তৃণমূলের হাত থেকে রাজ্যকে বাঁচানোর। এই লক্ষ্যে তারা রাজ্যব্যাপী মোদি-মমতা বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন। স্লোগান ওঠে ব্রিগেড জুড়ে ’বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও, তৃণমূল হটাও রাজ্য বাঁচাও।
‘দড়ি ধরে মারো টান, মোদি সরকার হবে খান খান’-মোদি সরকার হটানোর জন্য এমন ব্যানার শোভা পাচ্ছিল সমাবেশে।
বামফ্রন্ট আয়োজিত এই মহা সমাবেশে সিপিএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, গোটা দেশে এখন লুটতরাজ চলছে । সাম্প্রদায়িক বিভাজন ঘটানো হচ্ছে। বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। মোদির নীতি দেশকে বরবাদ করে দিচ্ছে। আর মমতা বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক বিভাজনে মদদ দিচ্ছে। তাই তিনি জোর দিয়ে ইয়েচুরি বলেন, দেশ ও রাজ্য রক্ষায় আজ দেশবাসী বিজেপি ও তৃণমূলের বিদায়। চুরি করা চৌকিদারকে আর চায় না দেশবাসী। বিদায় চায় চৌকিদারের। বলেন, চৌকিদারের ছুটির সময় হয়ে গেছে।
সিপিএম সাংসদ ও বামপন্থী নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, লালঝান্ডায় ভরে গেছে আজকের ব্রিগেড। তৈরি হয়েছে ব্রিগেডে লাল সমুদ্র। এই লাল সমুদ্রকে বাধা দিলে সুনামি হবে। সেই সুনামি কেউ রোধ করতে পারবে না। তাই বাংলা বাঁচাতে হলে তৃণমূল হটাতে হবে। দেশ বাঁচাতে হলে মোদিকে হটাতে হবে।
বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশে অসুস্থ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গাড়িতে করে ব্রিগেড ময়দানে আসেন। কিন্তু তিনি উঠতে পারেননি মঞ্চে। মঞ্চের নিচে গাড়ি পার্কিং করে নেতাদের ভাষণ শুনে ফিরে আসেন তাঁর বাসভবনে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি