করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করছে ভারত। প্রতি বছরই বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবার পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডে থাকছে না কুচকাওয়াজ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জাঁকজমকও থাকছে না। কেন ২৬ জানুয়ারিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য? আর স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে প্রজাতন্ত্র দিবসের পার্থক্যই বা কী? ছোটবেলায় ইতিহাসে পড়া কিছু তথ্য আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক।
১৯৫০ সালে দেশের সংবিধান তৈরি হওয়ার পর, তা কার্যকর করতে একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। আর তখনই ঐতিহাসিক মাহাত্ম্যের বিচারে বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারিকেই। এই কারণেই ২৬ জানুয়ারি পরিচিত হতে শুরু করল ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে। এবছর আমরা ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করব। জাতীয় ছুটি হিসেবেই ঘোষণা করা হয় এই দিনটিকে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় শুরু হয় নানা আনুষ্ঠানিকতা।
অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংসহ আরো অনেকে। প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশের ১২২ সেনার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কুচকাঁওয়াজ, এতে নেতৃত্ব দেন মোহাতসিম হায়দার চৌধুরী।
এছাড়া চলবে তিনবাহিনীর সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনী।তবে করোনার কারণে সামাজিক দূরত্বে বজায় রাখার বিষয় মাথায় রেখে এবার তুলনামূলক কম সেনাসদস্য রাখা হয়েছে।
১৯৫০ সালের এই দিনে ভারতের সংবিধান প্রণীত হয়। এরপর থেকে দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দেশটি।