ইউরোপা লিগকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে সেভিয়া। রেকর্ড ৬বারের চ্যাম্পিয়ন ছিল তারা। স্প্যানিশ ক্লাবটির সমৃদ্ধ ইতিহাসের পরেও রোমা কোচ হোসে মরিনহো সেটিকে আমলে নেননি। বলেছিলেন, ‘ইতিহাস খেলে না।’ দেখা গেলো ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতাই ম্যাচ জয়ের পথ গড়ে দিয়েছে সেভিয়াকে। ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে কপাল পুড়েছে এএস রোমার। স্নায়ুক্ষয়ী পেনাল্টি শুটআউটে তাদের ৪-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ড সপ্তম শিরোপা ঘরে তুলেছে সেভিয়া। তাতে ৭ ফাইনাল খেলা সেভিয়া প্রতি আসরেই শিরোপা ঘরে তোলার স্বাদ পেয়েছে।
উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটা শুরু থেকেই ছিল উত্তপ্ত। সেভিয়ার বিপক্ষে ব্যাকলাইনে ৫জন রেখে ডিফেন্ড করেছে রোমা। সেভিয়া ৬৫ শতাংশ বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ইতালিয়ান ক্লাবটির কৌশলে তাদের বেশির ভাগ বক্সের বাইরেই কাটাতে হয়েছে। তাছাড়া রেফারিকেও কাটাতে হয়েছে ব্যস্ত সময়। হলুদ কার্ড বের হয়েছে ১৪টি! যা ইউরোপা লিগের কোনও ম্যাচে সর্বোচ্চ।
৩৫ মিনিটে প্রতিআক্রমণে পাউলো দিবালার গোলে অগ্রগামিতা পেয়েছিল রোমা। তার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেভিয়া। ৫৫ মিনিটে পেয়ে যায় সমতাসূচক গোলটিও। আত্মঘাতী গোলে সেভিয়ার স্কোর ১-১ করেছেন মানচিনি।
তার পর আক্রমণ প্রতিআক্রমণে দুই দল সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি কেউ।
অতিরিক্ত সময়ের পর খেলা শুটআউটে গড়ালে সেখানেও নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জয় নিশ্চিত হওয়া স্পট কিকটি নিয়েছেন গনজালো মন্তিয়েল। বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে জেতাতেও একই ভূমিকা ছিল তার। অবশ্য এই ডিফেন্ডার শুরুর চেষ্টাতেই গলদ করে ফেলেছিলেন। হয়েছিলেন ব্যর্থ। নিয়তি অবশ্য ভিন্ন কিছুই লিখে রেখেছিল তার জন্য! রোমা কিপার রুই প্যাত্রিসিও লাইন ছেড়ে আগে বের হয়ে আসায় দ্বিতীয়বার শট নিতে বলা হয় মন্তিয়েলকে। তখন অবশ্য কোনও ভুল করেননি এই আর্জেন্টাইন।
স্নায়ুক্ষয়ী শুটআউটে সেভিয়ার নায়ক বলতে হবে ইয়াসিন বুনোকে। গিয়ানলুকা মানচিনি ও রজার ইবানেজকে রুখে দিয়েছেন তিনি। সেই জায়গায় স্প্যানিশ ক্লাবটি প্রথম ৪ চেষ্টাতেই জাল কাঁপিয়েছে।