নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার আশায় ছিলেন কলিন মুনরো। দল নির্বাচনের সময় তাকে নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত ব্রাত্যই থাকলেন তিনি। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী ওপেনার।
অথচ মুনরো সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেছেন ২০২০ সালে! তার পরেও তার কথা দল বেছে নেয়ার সময় আলোচিত হয়েছিল। নিউজিল্যান্ড হেড কোচ গ্যারি স্টিডও সেটা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু অভিজ্ঞ বামহাতি ব্যাটারের জন্য কোনও জায়গাই হয়নি।
গত চার বছর পুরোটা সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগী ছিলেন। তার পরেও আশায় ছিলেন, কিউইদের হয়ে ১২৩ ম্যাচ খেলার পরও ফিরতে পারবেন। এখন অবসর নিলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে যাবেন তিনি।
অবসর নিয়ে মুনরো বলেছেন, ‘খেলোয়াড়ি জীবনে কিউইদের হয়ে খেলতে পারাটা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। এই জার্সি পরে খেলার মতো অন্য কিছুতে এত গর্ববোধ করিনি। আর সব ফরম্যাট মিলে ১২৩ ম্যাচে সেটা করতে পারা আমার কাছে সব সময়ের জন্য গর্বের ব্যাপার হয়ে থাকবে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ফর্ম বিবেচনায় খেলার আশা করেছিলেন মুনরো। সেই কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘অনেক দিন হয়েছে জাতীয় দলে খেলেছি। তার পরেও আমি ফেরার আশা ছাড়িনি। সেটা করেছি ফ্র্যাঞ্চাইজি ফর্ম বিবেচনা করে। কিন্তু ব্ল্যাক ক্যাপসদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পর এখন সেই অধ্যায়ের পুরোপুরি ইতি টেনে দেয়ার এটাই সঠিক সময়।’
মুনরো একটি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে নিজেকে সবচেয়ে বেশি মেলে ধরেছেন টি টোয়েন্টিতে। রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি। যার মধ্যে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ বলে করা শতকটি অন্যতম। যা ওই সময় ছিল নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪ বলে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। যা এখনও কিউইদের দ্রুততম ফিফটির নজির। সার্বিকভাবে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ।